Last Updated on February 12, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২০২৫ সালের ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছে। এই ছুটি শবে বরাত এবং পঞ্চানন বর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের সকল সরকারি অফিস, স্কুল এবং প্রতিষ্ঠান ১৩ এবং ১৪ ফেব্রুয়ারি বন্ধ থাকবে। প্রথমে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে শবে বরাতের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল, কিন্তু শবে বরাতের তারিখ নিশ্চিত হওয়ার পর ১৩ ফেব্রুয়ারি দিনটিও ছুটির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর ফলে, সরকারি কর্মচারীরা ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারির সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে মিলে মোট চার দিনের ছুটি পাবেন।
শবে বরাত:
শবে বরাত ইসলামের এক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রাত। এটি শাবান মাসের ১৫ তম রাত হিসেবে পালিত হয়। এই রাতে মুসলিমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে, তাদের পাপের জন্য দোয়া করে এবং তাদের পূর্বপুরুষদের আত্মার শান্তি কামনা করে। এই রাতকে এক ধরনের আত্মশুদ্ধির রাত হিসেবে দেখা হয়, যেখানে মানুষ নিজেদের ভুল সংশোধন করার চেষ্টা করে এবং ভবিষ্যতের জন্য দোয়া পাঠায়। শবে বরাতের গুরুত্ব মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত বেশি, এবং এই রাতে বিশেষ প্রার্থনা, ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান করা হয়।
পঞ্চানন বর্মা জয়ন্তী
১৪ ফেব্রুয়ারি, পঞ্চানন বর্মা জয়ন্তীও উদযাপিত হয়। পঞ্চানন বর্মা ছিলেন একজন প্রখ্যাত সমাজসেবক এবং ধর্মীয় নেতা। তিনি বাঙালি হিন্দু সমাজের জন্য বহু গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেছেন, বিশেষত তাদের মধ্যে ঐক্য এবং শান্তির বার্তা পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে। পঞ্চানন বর্মা জয়ন্তী পশ্চিমবঙ্গের মানুষের কাছে একটি বিশেষ দিন, যেখানে তাঁর শিক্ষা এবং সমাজে তার অবদান নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই দিনটি বাঙালি সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে পালন করা হয়।
টেলেঙ্গানায়ও ছুটি ঘোষণা
পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি, টেলেঙ্গানাতেও ১৪ ফেব্রুয়ারি শবে বরাত উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানেও ১৫ ফেব্রুয়ারি সান্ত সেওয়ালাল মহারাজের জন্মদিন উপলক্ষে অতিরিক্ত ছুটি থাকবে। এর ফলে, টেলেঙ্গানার স্কুলগুলোতে ৩ দিনের ছুটি থাকবে, যা সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে একত্রিত হবে।
চার দিনের ছুটির সুযোগ
পশ্চিমবঙ্গ এবং টেলেঙ্গানার সরকারের এই ছুটির ঘোষণার ফলে সরকারী কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীরা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিন কাটানোর সুযোগ পাবেন। শবে বরাত এবং পঞ্চানন বর্মা জয়ন্তী উপলক্ষে ধর্মীয় এবং সামাজিক অনুষ্ঠানগুলি পালন করতে এই ছুটির সময়টি অত্যন্ত উপযোগী। এছাড়া, সরকারের বিভিন্ন অফিস এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে, যা কর্মীদের এবং শিক্ষার্থীদের পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ দেবে।