Last Updated on January 1, 2025 by কর্মসংস্থান ব্যুরো
বছরের প্রথম দিনে শীতের প্রবাহের শুরু! পশ্চিমবঙ্গ সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে শীতের ধুন্ধুমার ইনিংস শুরু হয়ে গেছে। গত রাত থেকেই তাপমাত্রা কিছুটা কমে যাওয়ার পরে, নতুন বছর শুরু হতেই পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ও দক্ষিণ প্রান্তে শীতের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এই শীতের আবহ আগামী কয়েকদিন কেমন থাকবে? চলুন, দেখে নেয়া যাক বাংলা সহ দেশের আবহাওয়ার পূর্বাভাস।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া: বছরের শুরুতে পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল যে, পারদ পতন হতে পারে এবং সেই মতোই দক্ষিণবঙ্গের গাঙ্গেয় অঞ্চলসহ অনেক জায়গায় তাপমাত্রা কমেছে। পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ১ জানুয়ারি হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকতে পারে। ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ অংশে শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে এবং কোথাও বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। রাতের তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া: উত্তরবঙ্গেও ১ জানুয়ারি থেকে আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে চলেছে। দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা সহ উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জায়গায় শুষ্ক আবহাওয়া থাকবে এবং কোনো বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তবে, দার্জিলিং, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, মালদা এলাকায় কুয়াশার প্রবণতা থাকবে, যা আগামী ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।
কলকাতার আবহাওয়া: ১ জানুয়ারি কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকবে। পশ্চিমবঙ্গের অনেক অঞ্চলে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমেছে। কুয়াশার কারণে রাজধানী কলকাতায় দৃশ্যমানতা কমতে পারে, যা যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।
দেশের শীতের খবর: পশ্চিম হিমালয় সংলগ্ন অঞ্চলে ১ থেকে ৩ জানুয়ারি বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও বরফপাত হতে পারে। ৪ থেকে ৬ জানুয়ারি পর্যন্ত জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, বালতিস্তান ও মুজাফফরবাদে আরও বেশি বরফপাতের সম্ভাবনা রয়েছে, জানিয়েছে আইএমডি।
শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস: পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, পশ্চিম ও পূর্ব উত্তর প্রদেশে শৈত্যপ্রবাহের পূর্বাভাস রয়েছে। এছাড়া হিমাচল প্রদেশের অনেক জায়গায়ও শৈত্যপ্রবাহের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গসহ হরিয়ানা, রাজস্থান, ওড়িশায় ঘন কুয়াশার কারণে তাপমাত্রা আরও নিচে নামতে পারে।
বছরের শুরুতেই পশ্চিমবঙ্গের শীতের ঝাঁজ যেন সব কিছু তোলপাড় করে দিয়েছে। আগামী কয়েকদিনে শীতের তীব্রতা আরও বাড়বে। তাই, শীতপ্রবাহের মোকাবিলা করার জন্য সবাইকে প্রস্তুত থাকতে হবে।